নিউজ স্বদেশ বাংলাঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,তত্বাবধায়ক সরকার মরিয়া ভুত হইয়া গেছে। এগুলো মাথা থেকে নামান। নয়ত এ ভুতে বিএনপি  শেষ। তত্বাবধায়ক সরকার চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে। এ তত্বাবধায়ক আর কোনদিন চোখ মেলবে না।

তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে। এই নির্বাচনে বিএনপি না আসলে আমও যাবে, ছালাও যাবে”।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর মোড়ে ঢাকার প্রবেশপথে আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ফখরুল তত্বাবধায়ক বলতে বলতে শেষ। দুই সেলফিতে আপনাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ভারতে এক সেলফি এরপর নিউইয়র্কে আরেক সেলফি। দুই সেলফিতে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অন্তরে জ্বালা। পদ্মা সেতু হয়ে গেল মেট্রোরেল হয়ে গেল। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গেল। একদিনে একশ সেতুর উদ্বোধন। জ্বালারে জ্বালা অন্তরে জ্বালা।

সমাবেশে তিনি আরও বলেন, তারা খাম্বা দিয়েছে বিদ্যুৎ দেয়নি। এখন শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। খেলা হবে! অক্টোবর পার হয়ে যাচ্ছে।  ফখরুল নাকি ঢাকা অবরোধ করবে। এ নারায়ণগঞ্জের সমাবেশ থেকে বলতে চাই জনগণ তাদের জবাব দিবে। আগুন নিয়ে আসলে হাত পুড়ে দেব। লাঠি নিয়ে আসলে হাত ভেঙে দেব।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ওরা গণতন্ত্রের কী জানে। ওরা জানে মানুষ খুন, লুটপাট, ভোটচুরি। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছিল বিএনপি। এদের হাতে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতা আর ফিরিয়ে দেবে না। আপনাদের বলছি বিএনপি থেকে সাবধান।

অনুষ্ঠানে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা,সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ,সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কৃষিবিদ দীপক কুমার বনিক, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি, উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ নং সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম,কাঁচপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন,সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাসেল,সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাগর,বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী এম এ সালাম, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজিজুল হক আজিজ, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক,সদস্য মোঃ হোসাইন,উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বিল্লাল হোসেন বেপারী,সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন,সোনারগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী শামসুজ্জামান সামসু প্রমুখ।