নিউজ ডেস্কঃ
সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড উপনির্বাচনে ভোট গণনার সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে হৃদয় (২৪) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় ফারুক নামের আরেকজন আহত হয়েছে। সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত হৃদয় পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামের আমিন হোসেন ভুইয়ার ছেলে। আহত ফারুক একই এলাকার মৃত কামাল হোসেনের ভূইয়ার ছেলে।
জানা গেছে, বছর খানেক আগে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মুজিবুর রহমান মারা যাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পযর্ন্ত ভোট গ্রহন শুরু করে। ভোট গণনা শেষে মোরগ প্রতীকের প্রার্থী আজিজ সরকারকে বিজয়ী ঘোষণ করেন প্রিজাইডিং অফিসার। এসময় পরাজিত প্রার্থী কায়সার আহম্মেদ রাজু ও তার সমর্থকেরা ফলাফল না মেনে ফলাফল পুনরায় গণনা করতে বলে। এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এতে দু-পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ও সংর্ঘষ শুরু হয়। এতে পুলিশ বাধা দিলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা গুলি ছোড়েন। এতে তালা প্রতীকের দুই সমর্থক হৃদয় ও ফারুক গুলিবিদ্ধ হন।
তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষনা করেন। আহত ফারুককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের আনে।
তালা মার্কার পরাজিত প্রার্থী কায়সার আহম্মেদ রাজু জানান, তারা নির্বাচনের ফলাফলের আগেই তার সাক্ষর নেন। পরে মোরগ মার্কার প্রার্থীকে জয়ী ঘোষনা করা হলে তার সমর্থকেরা তা সঠিক নয় বলে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এতে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছুঁড়ে। গুলিতে তাদের একজন সমর্থক হৃদয় নিহত হয় এবং ফারুক নামের আরেকজন আহত হয়।
এ বিষয়ে মোরগ মার্কার প্রার্থী আজিজ সরকার জানান, সারাদিন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সংগঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে তাকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হলে তার সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি চলে আসে। পরবর্তীতে পুলিশের সাথে কিভাবে সংঘর্ষ হয়েছে তা সম্পর্কে তার জানা নেই।
সোনারগাঁ থানার এস আই পঙ্কজ সরকার জানান, নির্বাচন পরবর্তীতে ফলাফল ঘোষনা নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়েন। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে।