নিউজ ডেস্ক : আসন্ন উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণায় আমি নাকি সোনারগাঁয়ের এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকে ভোটের বেপারি বলেছি। আমি ভোটের বেপারি বলেছি যারা গ্রামের মাতবর সেজে প্রার্থীদের কাছে ভোট বিক্রি করতে আসে তাদের। অথচ কিছু কুচক্রীমহল এমপি সাহেবকে ত্যাগী নেতৃত্বশূন্য করার পায়তারা মাত্র।যারা আমার বিরুদ্ধে গতকাল মানববন্ধনে আমাকে হুমকি ও অশ্লীল কথা বলেছে তারা আমার রাজনীতির বয়সের অর্ধেক বয়সও তাদের হয়নি। শুক্রবার সকাল ১১ টায় সোনারগাঁ থানা প্রেসক্লাবে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় সোনারগাঁয়ের এমপি আব্দুল্লাহ্ আল কায়সার হাসনাতকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে বক্তব্য দিয়েছি। বক্তব্যের লাইভ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, এ বিভেদ উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে। সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ৪০ বছর ধরে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দেওয়া পরিক্ষিত ত্যাগী নেতা মাহফুজুর রহমানের ঘোড়া প্রতিকের ভোট চাওয়াই আমার অপরাধ। আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে জেল, জুলুম ও নির্যাতিত একজন ত্যাগী নেতার পাশে থাকা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। কারন আমিও ৪০ বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে রাজনীতি করছি।
সবশেষে সকলের মঙ্গল কামনা করে এবং বিগত দিনের জ্ঞাত, অজ্ঞাত সকল ভুলভ্রান্তির জন্য সকলের নিকট আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
উল্লেখ্য,নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সারের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমানের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার সকালে সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।মানববন্ধনে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা তাকে সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার ও সোনারগাঁবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম দেন। না হলে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের জন্য দলের কেন্দ্রীয় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেবেন বলে হুমকি দেন।