নিউজ ডেস্ক ঃ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ উঠেছে পিরোজপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলজারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, গোলজার একজন দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ। মাছের ব্যবসা আড়ালে ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে পরকিয়ায় জড়িত হোন এবং অনেক ব্যক্তির সংসার নষ্ট করে দিয়েছে।

ভুক্তভোগী প্রবাসী ইলিয়াস জানান, আমার ১৮ বছরের সংসার ভেঙ্গে দিয়েছে গোলজার। আমার প্রবাস জীবনে অর্জিত অর্থ সম্পদ ও স্বর্ণাঙ্কার নিয়ে আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে এই গোলজার। আমি স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে এর বিচার চেয়েছি এবং থানায় অভিযোগ করেছি।

থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ইলিয়াস ১৮ বছর মালোয়শিয়া ছিলেন। আর সে সুবাধে তার স্ত্রী রাবিয়া বেগম (৩৮) এর কাছে তার ৪০ লক্ষ টাকা ও ২৫ বরি স্বর্ণ জমা রাখেন। কিন্তু পরবর্তীতে তা চাইলে তার স্ত্রী বিভিন্ন রকম তালবাহানা করে এবং অভিযুক্ত গোলজার হোসেনের সাথে অন্যত্র চলে যাবে বলে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করেন।এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ লা জুলাই বাসা থেকে চলে যায় এবং তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবে বলে হুমকি প্রদান করে।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, গোলজার নারী লোভী। এই এলাকার প্রবাসীর স্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে তাদের সাথে অনৈতিক কাজ করে থাকে। এ এলাকার নারীরা নদীতে তার ভয়ে গোসল করতে যায়না।

ভাটিবন্দর গ্রামের মাহাবুব বলেন, গোলজারের টার্গেট থাকে প্রবাসীর স্ত্রীদের প্রতি। তাদের মাছের ব্যবস্থা করে দিয়ে মুঠোফোন নাম্বার সংগ্রহ করে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে একপর্যায়ে ফাঁদে ফেলে তাদের অনৈতিক কাজ করে। এ রকম কয়েকটি বিচার সালিশও হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে রাতে এ ধরনের কাজ করায় ক্ষিপ্ত মারধর করতে আসে।

ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, গোলজারের বাবা দাদারা মাছের ব্যবসা করতো। সেও একজন মাছ ব্যবসায়ী। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাছ দিয়ে ম্যানেজ করে স্থানীয় এলাকার প্রবাসীর স্ত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
তিনি আরও বলেন, গোলজার উপজেলা আওয়ামী লীগের নাম বিক্রয় করে এ ধরনের জঘন্য কাজ করতেছে। তার বিচার হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত গোলজার জানান ,তিনি একজন মাছ ব্যবসায়ী। উদ্দেশ্য প্রণীতভাবে তার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল এসব করছে। তার উপর আনিত অভিযোগ মিথ্যে বলেও জানান তিনি।

সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।