
নিউজ ডেস্ক ঃ খ্যাত পীরে কামেল হযরত সাইফুদ্দিন শম্ভুগঞ্জী কেবলাজানের পবিত্র বেছালত উপলক্ষে জামালপুর সদর থানার কুঠামনি দরবার শরীফে দুদিনব্যাপী এক বিরাট দ্বীনি জলসা গতকাল সোমবার শুরু হয়ে মঙ্গলবার বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
দরবার শরীফের গদিনশীন পীর শাহ সুফি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা রেজাউল হক রেজা শাহ জামালপুরী এতে প্রধান বক্তা ও উদ্যোক্তা হিসেবে পিতা ও আপন মুর্শিদ হযরত সাইফুদ্দিন শম্ভুগঞ্জির এই বেছালত শরীফের আয়োজন করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে এই জলসায় যোগদান করেন রাজধানী ঢাকার ফার্মগেট কুতুববাগ দরবার শরীফের পীর ও মোর্শেদ, একুশ শতকের আধ্যাত্মিক মহাসাধক, খাজাবাবা হযরত সৈয়দ জাকিরশাহ নকশবন্দী মোজাদ্দেদি কেবলাজান। রাজধানী থেকে সোমবার সকালে তাঁর সফর সঙ্গী হয়ে জামালপুরের এই মাহফিলে যোগ দেন শত শত ভক্ত আশেকান জাকের-মুরিদ।
সারা দেশ থেকে আসা দুই দরবারের হাজার হাজার ভক্ত আশেকান জাকেরানের উপস্থিতিতে পবিত্র কোরআন ,হাদিস, ইজমা কিয়াসের আলোকে শরীয়ত ,তরিকত হাকিকত, মারেফত ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেন বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মহৎ জীবন ও কর্ম নিয়ে কোরআন-হাদিস ভিত্তিক আলোচনা, মিলাদ-কেয়াম, জিকির আজগারের মধ্যে দিয়ে রাতভর এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যান্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন কুঠা মনির দরবারের পীর সাহেব কেবলা হযরত রেজাউল হক রেজাৎশাহের একমাত্র পুত্র ও কুতুববাগ দরবার শরীফের পীর ও মুর্শিদ হযরত সৈয়দ জাকির শাহ নকশবন্দী মুজাদ্দেদী কুতুববাগীর একমাত্র কন্যার জামাতা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত মেছবাহুল মোকাররাবিন।
কুতুববাগী কেবলাজানের বাণীর যে মর্মকথা “সূফীবাদ শান্তির পথ। ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য সুফিবাদের মধ্য দিয়েই প্রস্ফুটিত হয়ে থাকে” সেই শাশ্বত সত্য দর্শনই আলোচনার মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে।
বাদ এশা প্রথম দফার আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কুতুববাগী কেবলাজান হুজুর। মোনাজাতের আগে সংক্ষিপ্ত বয়ানে তিনি বলেন, শরীয়ত তরিকত হাকিকত মারেফত এই চারটি বিষয় নিয়েই পরিপূর্ণ ইসলাম। সকল এবাদতের মধ্যে নামাজসর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। তিনি আরও বলেন, ইসলাম হানাহানি সংঘাত সমর্থন করে না। ভালোবাসা দিয়ে মানব সেবার মধ্য দিয়ে নবীজির আদর্শ অনুসরণ করা যায়, যা সুফি সাধকগণ যুগের পর যুগ ধরে করে আসছেন।
ভোররাতে তাহাজ্জুতের নামাজ ও ফজরের নামাজ শেষে জেকের আজকার ,তসবি তেলাওয়াত ও খতম শরীফ আদায়ের মধ্য দিয়ে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এবং ফজর নামায শেষে খতম শরীফ আদায় করা হয়। এরপরআখেরি মোনাজাতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে এই বিশেষ দ্বীনি জলসা শেষ হয়।