যুবদল নেতা এস এম মোমেনকে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে যুবদল নেতা এস এম মোমেনকে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের প্রকাশে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বুধবার সকালে মদনপুরে ভোজন বিলাসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এস এম মোমেন তিনি জানিয়েছেন,
আমি ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতিকে ভালোবাসে আমাদের সমগ্র পরিবারের সদস্যরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানকে ভালোবেসে যুবদলের রাজনীতি করেছি। যুবদল করার কারণে একাদিক হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কিন্তু দলের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি।নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বি এন পি এবং যুবদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে আমাকেও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার গায়েবি ও বিস্ফোরক মামলায় আসামী করেছে। সে মামলায় ২০১৭ সালে গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছি। ২০২৩ সালে সোনারগাঁয়ের বস্তল এলাকায় বিএনপির ডাকা হরতালে গাড়ি পোড়ানো মামলায় আমাকে ও আমার বড় ভাই আল আমিনকে আসামী করা হয়েছে। ২০২৩ সালে ফুলহর স্কুলের সামনে টায়ার পোড়ানোর মামলায় আমাকে আসামী করা হয়েছে। ২০২২ সালে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে অংশ নিতে মদনপুর থেকে বাসে করে যাবার সময় মৌচাকে বাস থামিয়ে আমাকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং এর কারনে সারাদিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আমার সাথে আরো ১৩ জনকে আটক করে রাখা হয়। যুবদল করার কারণে ২০২৩ সালে ফুলহরে আমাদের বাসায় ও অফিসে পুলিশ হামলা চালায় যার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে এখনো আছে। ২০২৩ সালে ফুলহরে পুলিশ বেরিকেড দিয়ে গকুলদাসের বাগের মোমেন ভুঁইয়াকে আটক করে আমাকে আটক করতে পেরেছে ভেবে পুলিশ উল্লাস শুরু করে। পরে তার প্রকৃত পরিচয় পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। তাহলে বুঝে নেন যুবদল নেতা এস এম মোমেনকে আটক করতে পুলিশ কতটুকু মরিয়া হয়ে ছিলো।
২০১৮ সালে নির্বাচনের তিন দিন পূর্বে আমাকে বাড়িতে না পেয়ে আমার মা, বোন ও ছোট ভাইকে পুলিশ আটক করে। আমার ছোট ভাই এর তখন অনার্স ২য় বর্ষের ফাইনাল পরিক্ষা চলমান।এটা জেনে পুলিশ মা ও বোনকে রেখে তাকে দরে নিয়ে যায় । আমাদের পরিবারের উপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ব্যাপক নির্যাতন চালাতে থাকে। উপায় না পেয়ে তাদের অত্যাচার থেকে পরিবারকে রক্ষা করতে মনের অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভিবিন্ন কূটকৌশল এর মাধ্যমে মদনপুরে একটি অনুষ্ঠানে যুবলীগ নেতা অহিদের সাথে মিছিলে অংশ নিতে বাধ্য করা হয় এবং বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদের হাতে ফুলের তোড়া দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হয়।
কিন্তু তারপর ২০১৯ থেকে আজ পর্যন্ত আমি আওয়ামী লীগের কোন মিটিং মিছিলে অংশ নেইনি এবং ফুল দেয়ার ছবি ছাড়া আমার ‍কোন ফুটেজ কেউ দেখাতে পারবে না। সে ঘটনার পর থেকে আমি বিএনপির মিটিং মিছিলে নিজ উদ্যোগে অংশ নিয়েছি। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন হামলা ও মামলার শিকার হয়েছি। অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কিন্তু বর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগ নেতা বানানোর পায়তারা করা হচ্ছে।
আমার বাবা জনাব শহীদুল্লাহ তিনি জিয়াউর রহমানের আমল থেকে বিএনপির রাজনীতি করে আসছেন, আমার বড় ভাই নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের সহ-সভাপতি। আমার চাচা শফিউল্লাহ তিনি হার্টের রোগী, হার্টে রিং পড়ানো এবং ওপেন হার্ট সার্জারী করা হয়েছে। তিনি কোন দলের রাজনীতি করেন না। কিন্তু তার নামেও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।